অবাধ জন্মনিরোধক ট্যাবলেট সেবনে সাবধান হোন
আতাউর রহমান কাবুল
সংগ্রহ-দৈনিক আমার দেশ ৩১/০৮/২০১০ইং আলোর ভূবন পাঠাগার
জন্মনিয়ন্তণের জন্য কনডম ব্যবহার না করে অনেক দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে জন্মনিরোধধক ট্যাবলেট বেছে নেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কম বয়সী বিবাহিত মহিলা ও অবিবাহিত যুবতীরা ও আজকাল জন্মনিয়ন্তনের এসব ট্যাবলেট অনেক বেশি গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে যারা ব্যাপকভাবে এসব ব্যবহার করেছেন তাদের জন্য এবার সতর্কবাণী-আপনারা সাবধান হয়ে যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এই আপতকালীন জন্মনিরোধক ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এই সংস্থা জানিয়েছে,এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মহিলারা আরও বিপদ ডেকে আনছে, এমন কি অনেকেই গর্ভবতী হওয়া থেকে ও বঞ্চিত হচেছন। গাইনোকোলজিস্টরা বলেছেন ,ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ট্যাবলেট ব্যবহারের ফলে মেয়েদের নানা রকম গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা সৃস্টি হচেছ ।বাংলাদেশে এখনও এ ব্যাপেরে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও ভারতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এই ট্যাবলেট পাওয়া সম্ভব হবে না এবং এব্যাপারে সে দেশের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে কিছুদিনের মধ্যেই নোটিশ জারি করা হবে বলে জানা গেছে। দেখা গেছে , বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে অবাধে এই আপাতকালীন জন্মনিরোধক ট্যাবলেট পাওয়ার ফলে কম বয়সী বিবাহিত মহিলা ওঅবিবাহিত যুবতীরা ব্যাপকভাবে এর ব্যাবহার শুরু করেছেন। ভারতের গাইনোকোলজিস্টরা দেখেছেন ,শারীরিক মিলনের পর অধিকাংশ যুবতী ও অল্পবয়সী অবিবাহিত মহিলা জন্মনিয়ন্দ্রণের জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে এই জন্মনিরোধক ট্যাবলেট কিনছেন এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে অজানাতেই তারা তাদের ভবিষ্যৎকে আরও সমস্যার মধ্যে ফেলে দিচেছন।ভারতের বিখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট ডা.সুব্রত চ্যাটার্জির বক্তব্য, বাজারে অবাধে বিক্রি হওয়া এই আপাতকালীন জন্মনিরোধকে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন ১৮থেকে২৫বছর বয়সী মেয়েরা দেখা গেছে , এই ট্যাবলেট খাওয়ার পর ১৮থেকে ২৫বছরের মেয়েদের মাসিকসহ নানা রকম গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা শুরু হয়। আর শহরাঞ্চলে এধরনের সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ।অসাবধান যৌন মিলনের পর মহিলারা বিশেষ করে যুবতীরা মুড়ি-মুড়কির মতো গর্ভবতী না হওয়ার জন্য ট্যাবলেট খাচেছন । ফলে নানান ধরনের মহিলা জটিল রোগে তারা ভুগছেন।যেমন-অনেকের পিরিয়ড ঠিকমত হচেছ না,আবার অনেকে ঠিকমত গর্ভবতী হতেও পারছেন না । তিনি আরও জানান ,সহবাসের পর ৭২ঘন্টার মধ্যে এই ট্যাবলেট না নিলে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।এক্ষেত্রে ৭২ঘন্টার জায়গায়৭৩
ঘন্টা হলে এই ট্যাবলেট আর কাজে আসে না । অনেক মহিলাই আছন যারা সঠিক সময়ে ট্যাবলেট নিতে না পারায় গর্ভবতী হয়েপড়ছেন ।তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন,কম বয়সী অবিবাহিত মেয়েরা এই ট্যাবলেটের ওপর ভরসা করে যৌন মিলনের কনডম ব্যবহার না করায় এইডস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।তবে তিনি এই ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ওপরই বেশি জোর দিয়ে জানিয়েছেন,এসব জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেটের ফলে ভ্যাজাইনাতে রক্তক্ষরণ , বমি বমি ভাব,রক্তচাপ বৃদ্ধি ,ওভারিতে সিস্ট,শরীরে স্থুলতা, মানসিক অবসাদ এসব সমস্যা দেখা যেতে পারে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন