বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন ‘তোমাদের কেউ তার অপর ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম হলে সে যেন তা করে’। (মুসলিম)।
রক্ত দান
আসুন আমরা সবাই
আলোর ভূবন রক্ত কেন্দ্রে
সদস্য nB এবং রক্ত দানের মাধ্যমে নিজেকে
মানব সেবায় নিয়োজিত করি।
রক্তদানঃ মানবসেবার অনন্য উপায়
পার্থিব জীবনের উন্নতিকল্পে সার্বিক বিষয়ের গবেষণার পাশাপাশি সুস্হ সবল থেকে আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা অপরিহার্য। ইসলাম এ বিষয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন ‘আল্লাহতায়ালা প্রতিষেধক ব্যতীত কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, রোগ উপযোগী প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হলে আল্লাহর ইচ্ছায় তা নিরাময় হয়।’ (মুসলিম) ইরশাদ হয়েছে ‘তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (বাকারা ২৯) আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন বস্তুর মাঝে নানা উপযোগ সৃষ্টি করে রেখেছেন। মানুষকে গবেষণা করে তার ব্যবহার পদ্ধতি বের করে নিতে হবে। বিজ্ঞান সমৃদ্ধ হয়ে এ বিষয়টি সহজ হয়ে গিয়েছে। অনুরুপভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞান যত উন্নত হবে মানব সেবা তত নিশ্চিত হবে। সমাজের গবেষক চিকিৎসক শ্রেণী নানাভাবে মানব সেবা করে যাচ্ছেন, এজন্য তারা সাধুবাদ গ্রহণের পাশাপাশি সৎ নিয়ত ও আন্তরিকতা দ্বারা বাহ্যত দুনিয়ার কাজগুলোকেও দ্বীনী কাজে বানিয়ে নিতে পারেন।
বিজ্ঞান চিকিৎসাকে অকল্পনীয় সহজ করে দিয়েছে। আল্লাহর বিশেষ রহমতে মুষ্টিমেয় কিছু দুরারোগ্য ব্যাধি ছাড়া সব রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার বিধি-নিষেধের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে ওষুধ প্রয়োগ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন ‘আল্লাহ সব রোগের প্রতিষেধক সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর এবং চিকিৎসা গ্রহণে হারাম বস্তু ও পন্হাকে বর্জন কর’। (আবু দাউদ) এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সুবিবেচনা কাম্য। অবশ্য অনন্যোপায় হলে জীবন রক্ষার্থে হারাম বস্তুও প্রয়োজন মতো হালাল হিসেবে গণ্য হয়।
সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্তের ব্যবহার ব্যাপক। রক্ত দান এবং জীবন রক্ষায় রক্ত অপরিহার্য উপাদান। রক্ত শুন্যতার জন্য রক্ত গ্রহণের যেমন বিকল্প নেই তদ্রুপ রক্তের চাহিদা পুরণের জন্য রক্ত দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে এটি পূণের কাজ এবং রক্ত বিক্রয় করা হারাম। তবে বিনামুল্যে রক্ত না পেলে রোগীর জন্য রক্ত ক্রয় করা বৈধ, কিন্তু এতে বিক্রেতা গুনাহগার হবে। ডাক্তারি গবেষণা মতে সুস্হ-সবল মানুষ তিন মাস অন্তর অন্তর রক্ত দান করতে পারে, এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন ‘তোমাদের কেউ তার অপর ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম হলে সে যেন তা করে’। (মুসলিম)। তাই আমার রক্তের বিনিময়ে এক ভাইয়ের জীবন রক্ষা পেলে আগ্রহ চিত্তেই তা দেয়া উচিত। রক্তের সীমাহীন চাহিদা পুরণের জন্য ব্লাড ব্যাংকের ব্যবস্হা করা এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচি গ্রহণ করা একটি কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে। নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য এ বিষয়ক প্রচার, সেমিনার এবং ব্লাড ডোনেশন দে’র মতো সচেতনতামূলক পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।
রক্তদানে ক্ষতি নেই
দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্তি ধারণা থেকে রক্তদানে আগ্রহী নয়। অথচ একটু সচেতন হলে রক্তের অভাবে কোনো লোক মারা যাবে না। রক্ত দিতে খুব একটা সাহসের প্রয়োজন হয় না, আবার রক্ত দান করা নায়কি কাজও নয়, তবে এটি মহৎ কাজ। আমাদের এক ব্যাগ রক্ত হাসি ফোটাতে পারে একজন মায়ের, একজন বাবার, একজন স্ত্রীর, একজন সন্তানের। হয়তো আমাদের রক্তে বেঁচে যেতে পারে একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি। তাই আসুন একটু সচেতন হই, স্বেচ্ছায় রক্ত দান করি, ধরে রাখি হাসি-আনন্দ।
রক্তদাতার করণীয় বা রক্তদাতার যোগ্যতা
রক্ত দান করতে হলে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। রক্ত দান করতে হলে রক্তদাতার বয়স আবশ্যই ১৮-৫৭ বছর ও ওজন কমপক্ষে ৪৮ কেজি এবং তাকে সুস্থ হতে হবে। রক্তদাতার যদি কয়েক মাসের মধ্যে কোনো বড় ধরনের অপারেশন না হয়; জন্ডিস, ম্যালেরিয়া-জাতীয় কোনো অসুখ না হয় এবং রক্তসংক্রান্ত কোনো অসুখে না ভোগেন, তাহলেই তিনি রক্ত দান করতে পারবেন। রক্তদানের সময় রক্তদাতার প্রেসার অবশ্যই স্বাভাবিক থাকতে হবে। এসব ঠিক থাকলেই কেবল একজন ব্যক্তি রক্ত দান করতে পারে।মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।
রক্তদাতার করণীয় বা রক্তদাতার যোগ্যতা
রক্ত দান করতে হলে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। রক্ত দান করতে হলে রক্তদাতার বয়স আবশ্যই ১৮-৫৭ বছর ও ওজন কমপক্ষে ৪৮ কেজি এবং তাকে সুস্থ হতে হবে। রক্তদাতার যদি কয়েক মাসের মধ্যে কোনো বড় ধরনের অপারেশন না হয়; জন্ডিস, ম্যালেরিয়া-জাতীয় কোনো অসুখ না হয় এবং রক্তসংক্রান্ত কোনো অসুখে না ভোগেন, তাহলেই তিনি রক্ত দান করতে পারবেন। রক্তদানের সময় রক্তদাতার প্রেসার অবশ্যই স্বাভাবিক থাকতে হবে। এসব ঠিক থাকলেই কেবল একজন ব্যক্তি রক্ত দান করতে পারে।মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।
রক্তদাতার লাভ
রক্তদান কেন্দ্রের মাধ্যমে রক্ত দিলে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করে দেওয়া হয়, যা বাইরে করলে খরচ লাগবে প্রায় তিন হাজার টাকার মতো। সেগুলো হলো_এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস। তা ছাড়া রক্তের গ্রুপও নির্ণয় করা হয়। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি,এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা। স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে।
রক্তদান কেন্দ্রের মাধ্যমে রক্ত দিলে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করে দেওয়া হয়, যা বাইরে করলে খরচ লাগবে প্রায় তিন হাজার টাকার মতো। সেগুলো হলো_এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস। তা ছাড়া রক্তের গ্রুপও নির্ণয় করা হয়। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি,এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা। স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে।
রক্তদানে ধর্মে বাধা নেই
রক্তদানের ব্যাপারে ধর্মে কোনো বাধা নেই। তবে রক্ত বিক্রয় বৈধ নয়। ডাক্তারি গবেষণা মতে, সুস্থ-সবল মানুষ প্রতি তিন মাস পরপর রক্ত দান করতে পারে, এতে শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। কারণ রক্ত কোনো ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন হয় না, একজন মানুষই কেবল আরেকজনকে দিতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে রক্তের চাহিদা রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ব্যাগ, জোগান রয়েছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজারের। রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য নিজে নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্ত দান করা এবং রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ একটি কার্যকরী উদ্যোগ হতে পারে।
রক্তদানের ব্যাপারে ধর্মে কোনো বাধা নেই। তবে রক্ত বিক্রয় বৈধ নয়। ডাক্তারি গবেষণা মতে, সুস্থ-সবল মানুষ প্রতি তিন মাস পরপর রক্ত দান করতে পারে, এতে শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। কারণ রক্ত কোনো ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন হয় না, একজন মানুষই কেবল আরেকজনকে দিতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে রক্তের চাহিদা রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ব্যাগ, জোগান রয়েছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজারের। রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য নিজে নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্ত দান করা এবং রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ একটি কার্যকরী উদ্যোগ হতে পারে।
রক্তদান ও রক্ত দানের পর
রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। রক্তদানের পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা।রক্তদাতা প্রয়োজন মনে করলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে। রক্তদানের সময় মাথা- শরীর সমান্তরাল থাকতে হবে। দূর হতে রক্ত দিতে এলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে। রক্ত দান করার পরে অবশ্যই নুন্যতম ৫ মিনিট শুয়ে থাকতে হবে। [রক্তের প্রবাহ সমগ্র শরীরে স্বাভাবিক হবার জন্য এটা অতীব জরুরী]। সাধারণত রক্তদান করার পর অতিরিক্ত দামী খাবার গ্রহনের প্রয়োজন নেই। তবে রক্তদানের পর সপ্তাহ খানেক স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য সময়ের দ্বি-গুণ পানি পান করতে হবে। কেননা একজন রক্তদাতা যেটুকু রক্ত দান করেন [সাধারণত ১ পাউন্ড] তার প্রায় ৬০ ভাগ ঐ সময়ের মধ্যে পূরণ হয়। শুধু লোহিত রক্ত কণিকা পূরণ হতে ৯০ দিন বা ৩ মাস সময় নেয়। রক্তদানের পর অবশ্যই তারিখ মনে রাখতে হবে। [প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই কার্ড সরবরাহ করে]।বেশিরভাগ রক্ত দাতাই রক্তদানের পর কোন সমস্যা অনুভব করেন না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা তলপেটে ব্যাথা, দূবর্লতা, মাথা ঘোরা, সূঁচ প্রবেশের স্থানে ক্ষত লালচে দাগ এবং ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা জ্ঞান হারাতে পারে বা মাংসপেশীতে খিচুনি ধরতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব সমস্যা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়না।
রক্ত দান সম্পর্কে পরামর্শ
রক্ত দান করার ৩ ঘন্টা আগে একটা ভাল পরিপূর্ণ খাবার খান রক্তদানের পরে আপনাকে যে অল্পাহার দেওয়া হয় সেটা গ্রহণ করুন, আপনার সেটা খাওয়া অপরিহার্য। পরে একটা ভাল পরিপূর্ণ খাবার খেতে আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
রক্তদানের আগের দিন ধূমপান করবেন না। রক্তদানের ৩ ঘন্টা পরে ধূনপান করতে পারেন।
আপনি রক্তদান করার উপযুক্ত বিবেচিত হবেন না যদি রক্তদানের ৪৮ ঘন্টা আগে মদ্যপান করে থাকেন।
রক্তদান সম্পর্কে ভুল ধারনা
“রক্তদানের পরে আমি নিঃশেষিত এবং দু্বল বোধ করব” – আপনি নিঃশেষিত বা দু্র্বল বোধ করবেন না যদি আপনি তরল পান করতে থাকেন এবং একটা ভাল খাবার খান।
“আমি স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবো না” – আপনি আপনার সব স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন, যদিও আপনাকে সেটা না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
“আমার রক্ত কম হয়ে যাবে” – ডাক্তার যদি আপনাকে রক্তদানের যোগ্য বিবেচনা করে, রক্তদানের পরেও আপনার উদ্বৃত্ত রক্ত থাকবে।
“রক্তদানের সময় ব্যাথা লাগবে” – না, আপনার কোন ব্যাথা বোধ হবে না
“আমার মাথা ঘোরাবে এবং অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারি” – রক্তদান করে আপনি অজ্ঞান হবেন না বা অস্বস্তি বোধ করবেন না
“আমার এইড্স হতে পারে” – না! নিশ্চিত করুন যে একবার ব্যাবহার করে নষ্ট করে ফেলার সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না।
“আমার রক্ত সাধারণ, আমার মনে হয় না তার কোন চাহিদা থাকবে” – সেইজন্যই আপনার ধরণটা জন্য বিরল ধরণের চেয়ে বেশী চাহিদা থাকবে।
রক্ত-তথ্য
রক্ত হচ্ছে জীবনী-তরল যা শরীরের হৃদযন্ত্র, ধমনী শিরা সুক্ষ উপশিরাসমূহ দিয়ে সঞ্চালিত হয়|
রক্ত শরীরে পুষ্টি উপাদান, ইলেক্ট্রোলাইট, হরমোন, ভিটামিন, এ্যান্টিবডি, উত্তাপ এবং অক্সিজেন বহণ করে|
রক্ত শরীর থেকে বর্জ্য এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বহণ করে বার করে দেয়|
রক্ত সংক্রমণের সাথে লড়াই করে এবং ক্ষত সারাতে ও আপনাকে স্বস্থ্য রাখতে সাহায্য করে|
আপনার শরীরের ওজনের প্রায় 7% হচ্ছে রক্ত|
একটা নবজাত শিশুর শরীরে প্রায় এক কাপ রক্তথাকে |
রক্তের শ্বেতকণিকা সংক্রমণের সাথে লড়ার জন্য শরীরের প্রধাণ প্রতিরোধক
গ্র্যানুলসাইটস্, একধরণের শ্বেতকণিকা, রক্তবাহক দিয়ে সঞ্চালিত হয়ে ব্যাকটেরিয়া খোঁজে এবং ধ্বংস করে
রক্তের লোহিতকণিকা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন বহণ করে
দুই থেকে তিন ফোঁটা রক্তে প্রায় এক বিলিয়ন্ রক্তকোষ থাকে
সঞ্চালণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রক্তের লোহিতকণিকা প্রায় 120 দিন বেচে থাকে
রক্তের প্লেটলেট রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং লিউকেমিয়া বা অন্য ক্যান্সারের রোগীদের একটা বাঁচার সুযোগ করে দেয়
কেন রক্তদান করবেন
রক্ত হচ্ছে জীবনী-তরল যা জীবনের ভিত্তি। রক্তে 60% তরল এবং 40% কঠিন অং থাকে। তরল অংশকে বলা হয় প্লাজ়মা, যা 90% জল এবং 10% পুষ্টি উপাদান, হরমোণ ইত্যাদি থাকে যা সহজেই খাদ্য, অষুধ ইত্যাদি দ্বারা পরিপূরণ হয় কিন্তু কঠিন অংশ যাতে আরবিওসি (লোহিত রক্তকণিকা), ডব্লিউবিসি (শ্বেতক্কণিকা)এবং প্লেটলেট থাকে, একবার নষ্ট হলে পরিপূরণ হতে অনেক সময় লাগে।এখানেই আপনার গুরুত্ব। পরিপূরণের জন্য রোগীর দেহ যে সময় নেয় তার মধ্যে রোগীর মৃত্যুও হতেপারে। কখনো কখনো দেহ পরিপূরণ করার মত অবস্থাতে থাকেও না।আপনি জানেন যে রক্ত বানানো যায় না, দান করতে হয়। তার মানে রক্ত লাগবে এমন ব্যাক্তির প্রাণ আপনিই বাঁচাতে পারেন। একজন স্বাভাবিক মানুষের ওজন কত হওয়া উচিৎ
মিটার | ফুট | স্বাভাবিক ওজন | সামান্য স্থুল | বেশি স্থুল |
১.৪৫ | ৪.৯ | ৪২-৫৩ | ৬৩ | ৮৪ |
১.৪৮ | ৪.১০ | ৪৪-৫৫ | ৬৬ | ৮৮ |
১.৫০ | ৪.১১ | ৪৫-৫৫ | ৬৮ | ৯০ |
১.৫২ | ৫.০ | ৪৬-৫৮ | ৬৯ | ৯২ |
১.৫৪ | ৫.১ | ৪৭-৫৯ | ৭১ | ৯৫ |
১.৫৬ | ৫.২ | ৪৯-৬১ | ৭৩ | ৯৭ |
১.৬৮ | ৫.৩ | ৫১-৬৪ | ৭৭ | ১০২ |
১.৬০ | ৫.৪ | ৫২-৬৬ | ৭৯ | ১০৫ |
১.৬২ | ৫.৫ | ৫৬-৭১ | ৮৫ | ১১৩ |
১.৭০ | ৫.৭ | ৫৮-৭২ | ৮৭ | ১১৬ |
১.৭২ | ৫.৮ | ৫৯-৭৪ | ৮৯ | ১১৮ |
১.৭৬ | ৫.৯ | ৬২-৭৭ | ৯৩ | ১২৪ |
১.৭৮ | ৫.১০ | ৬৩-৭৯ | ৯৫ | ১২৭ |
১.৮০ | ৫.১১ | ৬৫-৮১ | ৯৭ | ১৩০ |
১.৮২ | ৬.০ | ৬৬-৮৩ | ৯৯ | ১৩২ |
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন