রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১

আমি কেন ইসলাম র্ধম গ্রহন করলাম


ইসলাম গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার পার্নেল

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার ওয়েন পার্নেল। ব্যক্তিগত গবেষণা ও ভাবনা থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের উদ্বুদ্ধ হন বলে তিনি জানান।
ইসলাম ধর্মগ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, গত জানুয়ারি থেকেই ইসলামের প্রতি এক ধরনের অনুরাগ জন্মেছিল তার। নতুন ধর্ম গ্রহণ করার পর পার্নেল তার নাম পরিবর্তন করে ওয়ালিদ রেখেছেন। যার অর্থ দাঁড়ায় সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তান'
পোর্ট এলিজাবেথে জন্ম নেয়া পার্নেল বলেছেন, "যদিও আমি এখনো ইসলামি নাম চূড়ান্ত করিনি তবুও আমি ওয়ালিদ নামটি বিবেচনা করছি, যার অর্থ সদ্যজতা ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তান। কিন্তু আমার নাম এখনো ওয়েন ডিলন পার্নেল। আমি এখন সাসেক্সে ক্রিকেট খেলছি এবং এটাতেই আমার মনোযোগ।" শ্রদ্ধার সঙ্গে নতুন ধর্মের নিয়ম কানুন পালন করবেন বলে জানান পার্নেল। একই সঙ্গে তার প্রতি আগ্রহ থাকায় ভক্তদের ধন্যবাদ জানিযেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ম্যানেজার মোহামেদ মোসাজি, যিনিও একজন মুসলিম। পার্নেলকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর পেছনে সতীর্থ হাশিম আমলা বা ইমরান তাহিরের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছেন মোসাজি। তিনি বলেছেন, "কয়েক মাস আগেই ওয়েন ইসলাম অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিযেছিল। এটা তার সিদ্ধান্ত, কিন্তু আমি নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছু জানি না।"
নাম গোপন রাখার শর্তে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় জানান, নতুন ধর্ম অনুসরণের ব্যাপারটি পার্নেল খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। তারা আরো জানান, ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ কোনো অ্যালকোহল স্পর্শ করেননি পার্নেল।
২০০৯ সালে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই নিজেকে কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে রেখেছেন পার্নেল। এর আগে ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়ে বোর্ডের নজরে আসেন এ পেসার। মাত্র ২০ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসেন পার্নেল। পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইউসুফ ইউহানার (মোহাম্মদ ইউসুফ) পর ওয়েন পার্নেল দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। #
ইসলাম গ্রহণ করলেন দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্টের ছেলে

১০ জুলাই (ইসলাম রেডিও): সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সিলভা কিরি'র ছেলে জন সিলভা কিরি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে মুহাম্মদ রেখেছেন।
তিনি সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি মসজিদে ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে সুদানের দৈনিক আল ইনতিবাহা। নও মুসলিম মুহাম্মদ বলেন, পরকালে আমি স্থায়ী সুখের স্থান বেহেশত পেতে চাই। দক্ষিণ সুদানে ফিরে গিয়ে তিনি সেখানকার অমুসলমিদেরকে ইসলাম গ্রহণের আকুল আহবান জানাবেন বলে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট সিলভা'র পুত্র জন' ওরফে মুহাম্মদ।
খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদান বিশ্বের ১৯৩তম স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কয়েক দশক ধরে একনাগাড়ে সংঘর্ষের পর স্বাধীনতা লাভ করল দক্ষিণ সুদান।
বিশ্বের সবচেয়ে কম উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ সুদান এবং দেশটিতে প্রতি সাতজন শিশুর মধ্যে একজন পাঁচ বছর হওয়ার আগেই মারা যায়।#

মার্কিন অভিনেত্রী প্যারিস হিলটনের ইসলাম গ্রহণ

যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী প্যারিস হুইটনি হিলটন শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তার মুখপাত্র আয়ান ব্রিঙ্কহাম সিবিএস নিউজকে একথা জানিয়েছেন।
ব্রিঙ্কহাম বলেছেন,তিনি বেশ কিছুদিন থেকে ইসলাম গ্রহণের কথা চিন্তাভাবনা করছিলেন। বিশেষ করে ২০০৪ সালে সেঞ্চুরি রিজিওনাল ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থানের সময় ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। ওই ডিটেনশন সেন্টারে তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত লোকের সংস্পর্শে এসে ইসলাম সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর অতীতের ক্লেদাক্ত জীবন থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। জেদ্দায় একটি ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র থেকে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনের পরিপূর্ণ শান্তি খুঁজে পেয়েছি। আগে আমি একটি নষ্টা মেয়ে হিসেবে পরিচিত ছিলাম। সে অবস্থার এখন পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তনের জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
মিস হিলটন আগামী সপ্তাহে লস এঞ্জেলসে ফিরে গিয়ে বেভারলি হিলের মধ্যভাগে একটি ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা করছেন। তার নামও পরিবর্তন করে তিনি তাহিরা' রাখতে চান। তার এই স্কুল তিনি বহু তারকাখ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিকে ধর্মীয় শিক্ষাদানের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চান। উল্লেখ্য, প্যারিস হিলটন বিশ্বখ্যাত হিলটন হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা কনারাড হিলটনের প্রপৌত্রী।
শোবিজ জগতের সুপার স্টার, স্বপ্নলোকের বাসিন্দা ও পৃথিবীর কোটি মানুষের হৃদয় কাঁপানো এই তারকার এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বর্তমান প্রজন্মের চিন্তার জগতে ঝড় তোলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। গত বছরের শেষের দিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানী নভোচারী সুনীতা উইলিয়াম সদলবলে ইসলাম গ্রহণ করে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি খুলে দেয়ারও চেষ্টা করেছেন।
পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলাম একটি বিকাশমান ও নন্দিত জীবনব্যবস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশের খবর একেবারে নতুন না হলেও সম্প্রতি পাশ্চাত্যের খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্বের ইসলাম গ্রহণ গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। বিখ্যাত পপস্টার মাইকেল জ্যাকসনের রহস্যাবৃত মৃত্যুর পর তার মুসলিম পরিচয় নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার-প্রোপাগাণ্ডা ও বিচিত্র তথ্য ছড়ানো হয়েছে। অনেকের মতে, তার ইসলাম গ্রহণের খবরটিকে পশ্চিমা মিডিয়া এবং সরকারগুলো প্রকাশ হতে দেয়নি এবং তিনি নিজেও এ ব্যাপারে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন।
আফগানিস্তানের তালেবানদের হাতে বন্দি হয়ে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্যে বিমুগ্ধ ব্রিটিশ নারী সাংবাদিক র্যাডল তো তার ইসলাম গ্রহণের কথা গোটা দুনিয়ার সামনে সগর্বে ঘোষণা দিয়েছেন। আরেকজন বিখ্যাত নারী সাংবাদিক সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকার ইসলাম গ্রহণের খবর পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে অবাক করেছে। সাড়া জাগানো মার্কিন অভিনেত্রী প্যারিস হিলটন মুক্তির এই মিছিলে সংযোজিত সাম্প্রতিক সময়ের সর্বশেষ নাম।
যারা ইসলামকে সেকেলে, ব্যক্তি-স্বাধীনতা, আধুনিকতা, মানবাধিকার ও প্রগতির প্রতিবন্ধকরূপে চিত্রিত করার পণ্ডশ্রমে সময় ব্যয় করেন উল্লিখিত ব্যক্তিদের ইসলাম গ্রহণে ক্ষণিকের জন্য হলেও আশা করি তারা লজ্জায় মুখ লুকাবেন। গড্ডালিকা প্রবাহে চিন্তার ডিঙ্গি ভাসিয়ে না দিয়ে স্থির হয়ে ভাবতে বসবেন। এক সময়ের হার্টথ্রব নায়িকা, গ্লামার গার্ল এবং বিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব যখন ইসলামের শালীন পোশাক তথা বোরকা বা হিজাব পরিহিতা হিসেবে নিজেকে সগৌরবে উপস্থাপন করেন, তখন আধুনিকতা ও নান্দনিকতার নামে অবাধ যৌনতাবাদীদের চেহারায় কালো মেঘের ছায়া নামে। আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন, সচেতন, শিক্ষিতা নারী সমাজ এতে খুঁজে পান জীবনে চলার আলোকিত পথ, নতুন উদ্যম, বিশ্বাসদীপ্ত প্রেরণা। প্রবল আত্মবিশ্বাসে উচ্চারণ করেন-আমি মুসলিম, ইসলাম আমার স্বপ্নের ঠিকানা'অবস্থাদৃষ্টে এটা অনুমিত হওয়া স্বাভাবিক যে, ফ্যাশনের নামে স্বল্পবসন আর শিল্পের নামে নারীর পণ্যায়নসহ অবাধ ভোগের কৌশলগুলোকে হালাল করার জন্য যারা এতদিন নারীসমাজকে বিভ্রান্ত করেছেন; তাদের জগত ছোটো হয়ে আসছে। কারণ নারীরা জাগছে এবং খুঁজে নিচ্ছে নিজেদের নিরাপত্তা, মর্যাদা, স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার ঠিকানা ইসলাম'
মাইকেল জ্যাকসনের আইনজীবী মার্ক শেফার-এর ইসলাম-গ্রহণের কাহিনী

মার্ক শেফার-মাইকেল জ্যাকসন
প্রখ্যাত মার্কিন আইনজীবী ও মিলিয়নিয়ার মার্ক শেফার তার দশদিনের সৌদি ভ্রমণ শেষে গত ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। জনাব শেফার আমেরিকার লসএঞ্জেলস-এর একজন ডাকসাইটে আইনবিদ ও কোটিপতি। তিনি একজন খ্যাতনামা অর্পিতসম্পত্তি আইন বিশেষজ্ঞ। সর্বশেষ তিনি মৃত্যুর এক মাস আগে মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির বিরুদ্ধে লড়েছেন।
জনাব মার্কের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ব্যক্ত করতে গিয়ে সৌদি ট্রাভেল গাইড জাবি বিন নাসির শরীফ বলেন, ‘মার্ক শেফার সৌদি আরব পৌঁছার পর থেকেই ইসলাম সম্পর্কে, ইসলামের অন্যতম রুকন সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে শুরু করেন। রিয়াদে আমরা দু'দিন অবস্থান করি। সেখানেও তিনি ইসলামের খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস অব্যাহত রাখেন। তারপর আমরা গেলাম নাজরান। সেখান থেকে আবহা আবার সেখান থেকে উলায় গেলাম। উলায় পৌঁছার পর ইসলামের ব্যাপারে তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। এখানে একবার আমরা ঘুরতে বেরুনোর পর উলায় আমাদের সঙ্গে আসা তিনজন সৌদি যুবকের প্রশান্তচিত্তে মরুবালুকার ওপর নামায পড়ার দৃশ্য তার হৃদয়কে প্রবলভাবে আন্দোলিত করে। দু'দিন উলায় কাটিয়ে আমরা যাই জাউফ নামক স্থানে। জাউফে গিয়ে মার্ক শেফার আমার কাছে ইসলাম সম্পর্কিত যে কোনো গ্রন্থ চাইলেন। আমি তাকে ইসলাম ধর্মের ওপর লিখিত কয়েকটি পুস্তিকা সরবরাহ করি। তিনি মনোযোগসহ সেসব পড়া শুরু করলেন। ভোরবেলা তিনি আমার কাছে জানতে চাইলেন, নামায কীভাবে আদায় করতে হয়? আমি তাকে নামায কিভাবে পড়তে হয়, অযু করতে হয় কিভাবে- তা ব্যাখ্যা করলাম। তৎক্ষণাৎ তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আমার সঙ্গে নামায আদায় করলেন। নামায পর আমাকে জানালেন, তিনি নামায পড়ে খুব প্রশান্তি লাভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা জেদ্দায় ফিরে এলাম। তিনি কিন্তু পুস্তিকাগুলোর ওপর চোখ বুলানো অব্যাহত রেখেছেন। শুক্রবার সকালে আমরা পুরান জেদ্দায় গেলাম। জুমার নামাজের সময় ঘনিয়ে এলে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। সবাইকে জানালাম, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি জুমার নামায পড়তে যাব। মার্ক বললেন, 'আমি তোমার সঙ্গে যেতে চাই। আমি তোমাদের নামায পড়া দেখব।' আমি তাকে স্বাগত জানালাম। মসজিদে গেলাম এবং সমবেত অনেক মুসল্লির সঙ্গে মসজিদের বহির্প্রাঙ্গণে জুমার নামায আদায় করলাম। অনতিদূর থেকে সবই লক্ষ্য করছিলেন মার্ক শেফার। নামায পর সব মুসল্লি একে অন্যকে সালাম-সম্ভাষণ জানাচ্ছেন। সবার মুখে এক অপার্থিব খুশির দীপ্তি। এসব দৃশ্য তাকে খুবই মুগ্ধ করলো।
আমরা যখন হোটেলে ফিরে এলাম, তিনি বললেন, 'আমি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে চাই।' আমি তাকে গোসল করতে বললাম। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোসল করলেন। আমি তাকে কালেমায়ে শাহাদাতের তালকিন দিলাম। তিনি পড়লেন, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ'তারপর তিনি দু'রাকাত নামায পড়লেন। নামায বাদ তিনি আমাকে বললেন, আমি সৌদি ত্যাগ করার আগে পবিত্র মক্কার হারাম শরীফে যাবার বাসনা রাখি। শনিবার সন্ধ্যায় হারাম শরিফে গিয়ে তিনি সালাত আদায় করলেন। তারপর আমরা হামরায় অবস্থিত "দাওয়াহ ওয়াল ইরশাদ" অফিসে গেলাম। সেখানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করলেন। তাকে ইসলাম গ্রহণের সাময়িক সনদ দেয়া হল। শনিবার সন্ধ্যায় তার আমেরিকান সঙ্গীরা যেহেতু চলে যাবেন তাই প্রফেসর তুরকিস্তানি মার্ক শেফারকে হারাম শরিফে পৌঁছানোর দায়িত্ব নিলেন।
স্যার মার্ক শেফারের হারাম শরীফ গমন সম্পর্কে প্রফেসর মুহাম্মদ আমিন তুরকিস্তানি বলেন, সাময়িক সনদ গ্রহণের পর মার্ক শেফার এবং আমি মক্কার হারাম শরিফে গেলাম। হারাম শরীফ দর্শন মাত্র তার চেহারায় ফুটে উঠল এক অনাবিল লাবণ্য। তার কপাল ও কপোল উদ্ভাসিত হল সৌভাগ্যের এক বিরল বৈভবে। আমরা যখন হারামে প্রবেশ করলাম। সরাসরি পবিত্র কাবা দেখতে পেলাম। তখন তার আপাদমস্তকে আনন্দের ঢেউ খেলে গেল। প্রাপ্তি ও তৃপ্তিতে ভরে উঠলো যেন তার মন। আল্লাহর শপথ! আমি সে দৃশ্যের বর্ণনা দিতে অক্ষম। মার্ক শেফার কাবা তাওয়াফ করলেন। আমরা নামায পড়লাম। যখন ফিরছিলাম তখন মনে হচ্ছিল, এ ঘর তার কত আপন! কত চেনা! কাবাকে ছেড়ে তার মন যেন কিছুতেই ফিরে আসতে চাইছিল না।
'
আমি যেন নব জীবন লাভ করেছি।'
ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেবার পর রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক শেফার তার ইসলাম কবুলের সৌভাগ্যের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, 'আমার পক্ষে এ মুহূর্তের অনুভূতি ব্যক্ত করা আসলেই সম্ভব নয়। শুধু এতোটুকু বলতে পারি যে, আমি এক নব জীবন লাভ করেছি। আজ আমার নতুন জীবনের সূচনা ঘটলো।'
তিনি আরও বলেন, আমি তো সৌভাগ্যের চূড়ায় উপনীত হয়েছি। যখন হারাম শরীফে প্রবেশ করলাম, পবিত্র খানায়ে কাবা দেখলাম- সে যে কী প্রাপ্তি ও তৃপ্তির পূর্ণতার মুহূর্ত ছিল, তা আমি আপনাদের সামনে ব্যক্ত করতে সক্ষম নই।
পরবর্তীতে তিনি কী করবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে মার্ক শেফার বলেন, 'আমি ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি বেশি জানার চেষ্টা করব। আল্লাহর দীন সম্পর্কে গভীরতায় পৌঁছার প্রয়াস চালাব এবং পবিত্র হজ সম্পাদনের জন্য অচিরেই আবার সৌদি আরবে ফিরে আসব।'
ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হলেন কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'ইসলাম সম্পর্কে খুব অল্পই জানা-শুনা ছিল। আমি যখন সৌদি আরব ভ্রমণ করলাম, সেখানকার মুসলিমদের জীবন যাপন প্রণালী দেখলাম, বিশেষত তাদেরকে প্রশান্তচিত্তে সালাত আদায় করতে দেখলাম, তখন ইসলাম সম্পর্কে জানতে প্রবলভাবে আগ্রহ বোধ করলাম। ইসলাম সম্পর্কে জানতে শুরু করা মাত্রই আমার প্রবল বিশ্বাস জন্মাল যে, এটি সত্য ধর্ম।
রোববার প্রভাতে স্যার মার্ক আমেরিকার উদ্দেশে জেদ্দাস্থ কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পর্ব অতিক্রম করার সময় ধর্ম ঘরে লিখেন ইসলাম। #
জার্মানীর হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ

জার্মানীর হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কারহার্ড ম্যানকোল্ড ইরাকের কারবালা শহরে ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমি এই দ্বিতীয়বারের মত ইরাক সফর করছি। অবশ্য আমার এবারের ইরাক সফর নিজের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বিষয়টি ঘোষণা দেয়ার জন্য। যখন আমি ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলাম তখন আমার মধ্যে এমন এক ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হল যা আগে কখনও অনুভব করিনি। আমি যখন দেখলাম হাজার হাজার লোক বহুদূরের পথ পায়ে হেঁটে ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাযার জিয়ারত করতে আসে, তখন আমি অনুভব করলাম যে, আমি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছি। অতএব, আমার অন্তরে ইসলাম ধর্মের এ আকিদা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হওয়ার পর আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।'
ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারের মোতাওয়াল্লি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন শেইখ আব্দুল মাহদী কারবালায়ী জার্মান এ শিক্ষকের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি এ নওমুসলিমকে মোবারকবাদ জানান।#

টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা লরেন বুথের ইসলাম গ্রহণ

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা লরেন বুথ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। টিভি উপস্থাপিকা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক লোরেন বুথ ইরানের কোম নগরী সফরের সময় ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপর তিনি ব্রিটেনে ফিরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখন তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ও হিজাব করেন। লরেন বুথ ইরানের ইংরেজী স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রেস টিভির সাংবাদিক।
দ্য মেইল সংবাদপত্রকে ৪৩ বছর বয়সী লরেন বুথ জানান, তিনি মদ ও শূকরের মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। ইসলামী গ্রহণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আমি ইরানের একটি মাজারে গিয়েছিলাম। মাজারে আমি বসে পড়লাম এবং আধ্যাত্মিক দ্যুতি অনুভব করলাম, যা কেবল চূড়ান্তভাবেই মঙ্গল ও আনন্দের সৃষ্টি করে।'
লন্ডনে গ্লোবাল পিস অ্যান্ড ইউনিটির অনুষ্ঠানে লরেন বুথ আরো বলেন, ‘আমি তোমাদের যা বলতে চাই তা হলো,আমি লরেন বুথ এবং আমি একজন মুসলমান।' তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হতে পেরে গর্বিত।'
মধ্যপ্রাচ্যের কথিত শান্তিদূত টনি ব্লেয়ারের ইসরাইল সম্পর্কে ভূমিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করেন লরেন বুথ।
লোরেন, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরী ব্লেয়ারের সৎ বোন । এ নও মুসলিম দীর্ঘদিন অধিকৃত ফিলিস্তিনে অবস্থান করেন। সেখান থেকেই তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। #

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Affiliate Network Reviews