রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১
পাশ্চাত্যে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে
৭:৩২ AM
Alorbhuban
No comments
পাশ্চাত্যে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর পাশ্চাত্যে ইসলাম সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টাসহ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারণা ও আক্রমণাত্মক নীতি জোরদার হয়ে ওঠে। ওই ঘটনাকে মুসলমানদের কাজ বলে প্রচার করছে পাশ্চাত্য। মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী ও সহিংসতাকামী হিসেবে তুলে ধরা এবং ইসলাম ধর্মকে উগ্র মতবাদ হিসেবে প্রচার করা ওই বিশেষ মহলের প্রধান কর্মসূচীর অংশ হয়ে পড়েছে। পাশ্চাত্যে মুসলমানদের ওপর বিধি-নিষেধ, চাপ ও হয়রানিও জোরদার হয়েছে। কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে এত প্রচারণা ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ সত্ত্বেও পাশ্চাত্যে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ এবং নওমুসলিমের সংখ্যা আগের চেয়েও লক্ষ্যনীয় হারে বাড়ছে। ফলে পাশ্চাত্যের ইসলাম-বিদ্বেষী মহল আরো বিচলিত হয়ে পড়েছে। পাশ্চাত্য ইসলাম-বিদ্বেষী তৎপরতায় সব ধরনের গণমাধ্যকে ব্যবহার করা সত্ত্বেও ইসলামের বিস্তৃতি ঠেকাতে পারছে না। ওয়াশিংটনের একটি ইসলামী কেন্দ্রের পরিচালক জনাব মোহাম্মাদ নাসের পাশ্চাত্যে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ এবং নওমুসলিমের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেছেন, "চলতি বছর পবিত্র কুরআন পোড়ানোর হুমকি এবং ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনাস্থলের কাছে মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে একই মহলের প্রতিবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি নিউইয়র্কের ১৮০ জন নারী ও পুরুষ ইসলাম ধর্মে দিক্ষীত হয়েছেন।" এভাবে পবিত্র কুরআন তথা মহান আল্লাহর বাণী পবিত্র হৃদয়ের মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করছে।
এবার ইসলাম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের কয়েকজন নওমুসলিমের বক্তব্য তুলে ধরব।
মরিয়ম ফ্রাঁসোয়া বৃটেনের একজন নওমুসলিম। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি শৈশবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনা ফ্রাঁসোয়াকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে। কারণ, তার মতে ওই ঘটনার পরই ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের প্রচারণা জোরদার হয়। মরিয়ম ফ্রাঁসোয়া এ সম্পর্কে বলেছেন,
মরিয়ম ফ্রাঁসোয়া বৃটেনের একজন নওমুসলিম। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি শৈশবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনা ফ্রাঁসোয়াকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে। কারণ, তার মতে ওই ঘটনার পরই ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের প্রচারণা জোরদার হয়। মরিয়ম ফ্রাঁসোয়া এ সম্পর্কে বলেছেন,
"ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণার ফলে এ ধর্ম সম্পর্কে আমার আগ্রহ বেড়ে যায়। আমি এ ধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেই। ইসলামী চিন্তাধারাগুলো বিশ্লেষণের পর আমার কাছে বিভিন্ন দিক থেকে এ ধর্মকে পূর্ণাঙ্গ ধর্ম বলে মনে হয়েছে। উত্থান-পতন বা চড়াই-উৎরাইয়ের ঘটনায় ভরা ইসলামের ইতিহাসও আমার কাছে চমৎকার লেগেছে এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র ব্যক্তিত্ব আমাকে আকৃষ্ট করেছে।"
মরিয়ম ফ্রাঁসোয়া ইসলামের নবী (সাঃ)-কে শান্তিকামী বলে মনে করেন। বিশ্বনবী (সাঃ)'র প্রতি ভালোবাসা তার হৃদয়ের গহীনে বদ্ধমূল হয়ে গেছে। তিনি গভীর শ্রদ্ধা ও উদ্দীপনা নিয়ে শেষ নবী (সাঃ)'র অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে কথা বলেছেন। মরিয়ম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "মহানবী (সাঃ)'র ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত এবং তার কোনো কোনো বাণী সম্পর্কে চিন্তাভাবনা , যেমন, তিনি বলেছেন, ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও সত্য কথা বলা উচিত, কিংবা যে তোমার ক্ষতি করেছে বা তোমাকে কস্ট দিয়েছে তুমি তার কল্যাণ বা উপকারে লিপ্ত হও- মূলতঃ এ বিষয়গুলোই আমাকে ইসলামে দীক্ষিত করেছে। ইসলামের নবী (সাঃ) ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তাঁর সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচারিত হয়েছে এবং তাঁকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি।"
জ্যাকুলিন হার্পার একজন মার্কিন নওমুসলিম যুবতী। ২৫ বছর বয়স্ক এ মার্কিন নারী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। হার্পার এর আগে ছিলেন গীর্যার সদস্য। তিনি ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে জীবনের শ্রেষ্ঠ পথই বেছে নিয়েছেন বলে মনে করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণ সম্পর্কে হার্পার বলেছেন, " আপনারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম সম্পর্কে খারাপ কথা শুনছেন। এ ছাড়াও বহু কারণেই আমি ইসলাম সম্পর্কে আরো বেশি জানতে ও গবেষণা করতে উৎসাহিত হয়েছি। এ জন্য আমি অনেক বই পড়েছি। এসব বই আমাকে বদলে দিয়েছে এবং আমার ওপর গভীর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।"
মিসেস হার্পার ইসলামকে সবচেয়ে উন্নত ও পরিপূর্ণ ধর্ম বলে মনে করেন। তার মতে, চিন্তাভাবনা ও পড়াশোনার মাধ্যমে সত্যকে আবিস্কার করা যায়। ইসলামও মানুষকে সব সময় চিন্তা-ভাবনা করতে বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের দারুল হুদা নামক ইসলামী কেন্দ্রের পরিচালক জামাল আল গামুস বলেছেন, "আমাদের এ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসা বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিকই ইসলাম সম্পর্কে অনেক তথ্য রাখেন। তারা সাহিত্য ও বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই পড়া ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম এবং মতাদর্শ সম্পর্কে অনেক পড়াশুনা করেছেন। তাই তারা যখন ইসলাম সম্পর্কে আমাদের সাথে সংলাপে বসেন তখন খুব দ্রুত ইসলাম গ্রহণ করেন। এখন প্রতিদিন একদল মার্কিন নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন ও মসজিদে যাচ্ছেন।"
মিসেস হার্পার ইসলামকে সবচেয়ে উন্নত ও পরিপূর্ণ ধর্ম বলে মনে করেন। তার মতে, চিন্তাভাবনা ও পড়াশোনার মাধ্যমে সত্যকে আবিস্কার করা যায়। ইসলামও মানুষকে সব সময় চিন্তা-ভাবনা করতে বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের দারুল হুদা নামক ইসলামী কেন্দ্রের পরিচালক জামাল আল গামুস বলেছেন, "আমাদের এ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসা বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিকই ইসলাম সম্পর্কে অনেক তথ্য রাখেন। তারা সাহিত্য ও বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই পড়া ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম এবং মতাদর্শ সম্পর্কে অনেক পড়াশুনা করেছেন। তাই তারা যখন ইসলাম সম্পর্কে আমাদের সাথে সংলাপে বসেন তখন খুব দ্রুত ইসলাম গ্রহণ করেন। এখন প্রতিদিন একদল মার্কিন নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন ও মসজিদে যাচ্ছেন।"
ডিয়েগো রডার্ড একজন নওমুসলিম মার্কিন যুবক। তিনি নিউইয়র্কের সনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত শিল্পের ওপর পড়াশুনা করছিলেন। ডিয়েগো ১১ ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখন তার নাম আলী আকবার। মুসলমান হবার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "পশ্চিমা মতাদর্শগুলো আমার মন-মানসিকতার সাথে খাপ খাচ্ছিল না এবং এসব মতবাদ আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আমার মন সব সময়ই এসব চিন্তাধারার সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল। তাই আমি গ্রহণযোগ্য এমন এক চিন্তাধারার সন্ধান করছিলাম যে চিন্তাধারা আমাকে জীবনের অর্থ উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।"
সাবেক ডিয়েগো আরো বললেন," মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃত্বশীল মতাদর্শগুলো ধর্ম-ভিত্তিক নয়, তাই এসব মতবাদ আমার প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। পাশ্চাত্যের লাগামহীন উশৃংখল জীবন এখন যুব সমাজের ওপর সমকামিতা চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে সেখানে পারিবারিক বন্ধনের ভিত্তি দূর্বল ও বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। আমার কাছে এ প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয় যে, আমরা কেন এ পৃথিবীতে এসেছি এবং কিভাবে আমাদের জীবন-যাপন করা উচিত, আর জীবন যাপনের শ্রেষ্ঠ পথ কোনটি? এ অবস্থায় ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের অবস্থান গ্রহণের বিষয়টি ইসলাম সম্পর্কে আমাকে আরো বেশি আগ্রহী করে তোলে। আমি এ সময় ইরান ও আয়াতুল্লাহ খোমেনী সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। ইমাম খোমেনী (রঃ)'র লেখা একটি বই পড়ার পর আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি ও শিয়া মাজহাবের অনুসারী হই। আয়াতুল্লাহ খোমেনী আমাকে ইসলামে পৌঁছার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন এবং ইরানের রয়েছে কয়েক হাজার বছরের সমৃদ্ধ সভ্যতা ও সংস্কৃতি।"
সাবেক ডিয়েগো আরো বললেন," মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃত্বশীল মতাদর্শগুলো ধর্ম-ভিত্তিক নয়, তাই এসব মতবাদ আমার প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। পাশ্চাত্যের লাগামহীন উশৃংখল জীবন এখন যুব সমাজের ওপর সমকামিতা চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে সেখানে পারিবারিক বন্ধনের ভিত্তি দূর্বল ও বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। আমার কাছে এ প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয় যে, আমরা কেন এ পৃথিবীতে এসেছি এবং কিভাবে আমাদের জীবন-যাপন করা উচিত, আর জীবন যাপনের শ্রেষ্ঠ পথ কোনটি? এ অবস্থায় ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের অবস্থান গ্রহণের বিষয়টি ইসলাম সম্পর্কে আমাকে আরো বেশি আগ্রহী করে তোলে। আমি এ সময় ইরান ও আয়াতুল্লাহ খোমেনী সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। ইমাম খোমেনী (রঃ)'র লেখা একটি বই পড়ার পর আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি ও শিয়া মাজহাবের অনুসারী হই। আয়াতুল্লাহ খোমেনী আমাকে ইসলামে পৌঁছার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন এবং ইরানের রয়েছে কয়েক হাজার বছরের সমৃদ্ধ সভ্যতা ও সংস্কৃতি।"
ইহুদি গবেষক মোশে বিলজিন পাশ্চাত্যে ইসলামের ভবিষ্যত সম্পর্কে বলেছেন, "সেদিন খুব দূরে নয় যেদিন পাশ্চাত্যে ইসলামই হবে প্রধান ধর্ম। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বহু গীর্যা জাদুঘরে পরিণত হয়েছে, অথচ মসজিদগুলোতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে জায়গা দেয়ার স্থান নেই।" লুজ ওয়ার নামক বেলজীয় সাময়িকী এক নিবন্ধে লিখেছে, বেলজিয়ামে খৃস্টানরা যে ব্যাপক হারে মুসলমান হচ্ছে তাতে ২০১২ সাল নাগাদ দেশটির মুসলমানের সংখ্যা আরো ৫ লক্ষ বৃদ্ধি পাবে।
ইসলাম ধর্মে মানুষ ও খোদার মধ্যে কোনো মধ্যস্থতা না থাকায় এবং এ ধর্ম পবিত্রতা ও আধ্যাত্মিকতাকে গুরুত্ব দেয়ায় বেলজিয়ামের নাগরিকরা ইসলাম গ্রহণ করছেন বলে নওমুসলিম বেলজীয়রা জানিয়েছেন। (সূত্র: রেডিও তেহরান)
১২:৪৪ AM
Alorbhuban
No comments
শিক্ষা সংক্রান্ত
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি, ফলাফল, স্কলারশিপ সহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফলাফল এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি, ফলাফল, স্কলারশিপ সহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফলাফল এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব।
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য
১২:৩৬ AM
Alorbhuban
No comments
সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি |
ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া |
রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয় |
জাহান্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় |
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর |
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর |
শের-এ-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় |
মেরিন ফিসারিজ একাডেমি |
শাহাজালাল ইউনিভার্সিটি ওফ ইনজিনিয়ারিং টেকনোলজি |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় |
নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি |
রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) |
বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় |
মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি |
মাওলানা ভাসানী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি |
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ওফ ইনজিনিয়ারিং টেকনোলজি (বুয়েট) |
মেরিন একাডেমি |
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট |
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইউটি) |
দি ইন্সটিটিউট অব চার্টাড একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) |
দি ইন্সটিটিউট অব কস্ট ম্যনেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) |
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট |
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ইন্ডিপেন্ডেন ইউনিভার্সিটি |
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ |
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি |
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি |
আমেরিকান ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি অফ্ বাংলাদেশ |
ঢাকা ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি |
ড্যফোডিল ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি |
আহ্সানউল্লাহ্ ইউনিভার্সিটি অফ্ সায়েন্স এন্ড্ টেকনোলোজি |
কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি |
স্ট্যাম্পফোর্ড ইউনিভার্সিটি |
ইন্টারন্যশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি -চট্টগ্রাম |
ইউনিভার্সিটি অফ্ এশিয়া পেসিফিক |
ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি |
সাউর্দান ইউনিভার্সিটি |
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি |
আই বি এ আই এস ইউনিভার্সিটি |
লিডিং ইউনিভার্সিটি |
ফলাফল সমূহ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালের পরীক্ষাসমূহের ফলাফল |
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল |
মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০০৮ এর ফলাফল (জিপিসিআইসি ওয়েবসাইট থেকে) |
অন্যান্য
বিবিসি জানালা |
বিবিসি জানালায় আনন্দ নিয়ে সহজে ইংরেজি শিখুন |
বেসরকারী শিক্ষক রেজিস্ট্রেশন এন্ড সার্টিফিকেশন অথরিটি |
এম সি কিউ পরিক্ষা |
পাঠ্য কার্যক্রম শেষে আরো নতুন কিছু জানার জন্য রয়েছে এই সাইটটি। |
বি সি এস টেস্ট |
প্রায় লক্ষাধিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে এই প্রথম বাংলায় সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইট যা কিনা বি সি এস, ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট, শিক্ষক নিবন্ধনসহ যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক। |
টিচার টিউবে শিক্ষণীয় ভিডিও দেখুন |
টিচারটিউবের মাধ্যমে গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ত্রিমাত্রিক মডেলিং, শিশুদের জন্য এনিমেশন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে ভিডিও পাওয়া যায়। |
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত
ভার্সিটি এড্মিশন |
বিশ্ববিদ্যালয় সম্পকিত পর্যাপ্ত তথ্যাদি জানতে এই অংশটি সহায়ক হবে। |
এ্যাডমিশন নাইন |
বিডিএস |
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড |
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড |
জেএসসি ও জেডিসি রেজাল্ট
বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১১
রাগ পরিহার করা রসূলের(সাঃ) আদর্শ-
৫:১৩ AM
Alorbhuban
1 comment
রাগ বা ক্রোধ ঈমানের বড় শত্রু। কারো থেকে প্রতিশোধ নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের সময় যে তোলপাড় সৃষ্টি হয় তাকে ক্রোধ বলে। ক্রোধ যেমনিভাবে মানুষের ঈমান ও আত্মার শত্রু তেমনিভাবে অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ জীবনেরও বড় শত্রু। ক্রোধের কারণে মানুষের পশুসুলভ আত্মা সক্রিয় হয়। চেহারা বিবর্ণ হয়। শিরা-উপশিরা ফুলে যায়, মানুষ আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। যার কারণে অনায়াসে মুখে অশস্নীল কথা, অঙ্গে অশস্নীল কাজ প্রকাশ পায়। ক্রোধ একটি জ্বলন্ত অগি্নশিখা, তাই মানুষ ক্রোধান্বিত হলে সে অগি্ন সহজে নেভে না । রাসূলে আকরাম (সা.) বলেন, "তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হবে সে যেন ওজু করে। কেননা, রাগ শয়তানের প্ররোচনা, শয়তান আগুনের তৈরী আর আগুন নিভে যায় ঠান্ডা পানিতে (মেশকাত)। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, "রাগ ঈমানকে এমনভাবে ধ্বংস করে যেমন পিপুল গাছের তিক্ত রস মধুকে বিনষ্ট করে।" রাসূল (সা.) আরোও বলেছেন, যে ক্রোধকে বাধা দেয় আলস্নাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তার আজাবকে বাধা দেবেন। অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, "সে ব্যক্তি এমন শক্তিশালী নয় যে, মানুষকে ধরাশায়ী করে বরং সেই শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে।
জনৈক সাহাবী রাসূল (সা.)- কে বললেন, আমাকে কিছু নসিহত করুন। তিনি বললেন, তুমি রাগ করোনা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে-রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের ত্রুটি মার্জনাকারীদের জন্য আলস্নাহ তায়ালার ক্ষমা ও জান্নাত নির্ধারিত। আলস্নাহ পাক সৎ কর্মশীলদের ভালবাসেন। হযরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে আলস্নাহর রাগ থেকে কিসে রক্ষা করবে? তিনি বললেন, তুমি নিজে রাগান্বিত হয়ো না। রসূল (সা.) বললেন, যে আপন ক্রোধ দমন করে আল্লাহ তায়ালা তার দোষ গোপন করেন। তিনি আরো বলেন, যখন তোমাদের কেউ রাগান্বিত হয় সে যেন বসে পড়ে, এতেও যদি রাগ প্রশমিত না হয় তাহলে যেন সে শুয়ে পড়ে। (মেশকাত) অন্য হাদীসে আছে ক্রোধ একটি স্ফুলিঙ্গ, যা অন্তরে প্রজ্বলিত হয়। তোমরা কি দেখ না, ক্রুদ্ধ ব্যক্তির ঘাড়ের শিরাগুলো ফুলে যায়, চক্ষু রক্তবর্ণ হয়ে যায়? তোমাদের কেউ যদি নিজেদের মধ্যে এ অবস্থা দেখে তবে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে।
ক্রোধের বিস্ফোরণই হূদরোগের অন্যতম কারণ-এ সত্যটি আবিষ্কার করেছেন অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইংলাণ্ডের সেন্ট জার্জেস হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার জন হান্টার তার জীবনের বিনিময়ে। চিকিৎসা জগতে জন হান্টার অতি পরিচিত নাম। তার সফল চিকিৎসার সুখ্যাতি বিশ্বময় কিংবদন্তির ন্যায় ছড়িয়ে আছে। বদমেজাজের জন্যও তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তার সাথে রুগিরা একটু এদিক সেদিক ব্যবহার করলেই তিনি রেগে আগুন হয়ে যেতেন। রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়তেন, স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতেন। এ সময় তার বুকে মৃদু যন্ত্রণা হত। এ অপ্রকৃতিস্থ অবস্থা যে দিন বেশী হত সেদিন যন্ত্রণা অসহ্য রকমের হত। ডাক্তার হান্টার তার বন্ধুদের বলতেন, দেখ, যদি আমার আকস্মিক মৃতু্য হয় তাহলে বুঝবে আমার ক্রোধের কারণেই হয়েছে।
একদিন তার চেম্বারে একজন খুঁতখুঁতে মেজাজের রোগী এলেন। সে তার কি রোগ হয়েছে, এ রোগ কেন হয় এরকম বহু প্রশ্ন করে ডাক্তারকে উত্ত্যক্ত করে তুললেন। ডাক্তার তার স্বভাব অনুযায়ী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আর বুক চেপে ধরে রোগিকে বললেন, মাফ করবেন, আমি একটু পাশের রুমে যাচ্ছি। পাশের রুমের মেঝেতে ঢলে পড়লেন। রাগের বিস্ফোরণেই তার মৃতু্য হল। বলা যায় তখন থেকেই মানুষ হূদরোগের তাৎক্ষণিক মৃতু্যর কারণ হিসেবে এই ক্রোধের বিস্ফোরণকেই দায়ী করে আসছে।
জনৈক সাহাবী রাসূল (সা.)- কে বললেন, আমাকে কিছু নসিহত করুন। তিনি বললেন, তুমি রাগ করোনা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে-রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের ত্রুটি মার্জনাকারীদের জন্য আলস্নাহ তায়ালার ক্ষমা ও জান্নাত নির্ধারিত। আলস্নাহ পাক সৎ কর্মশীলদের ভালবাসেন। হযরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে আলস্নাহর রাগ থেকে কিসে রক্ষা করবে? তিনি বললেন, তুমি নিজে রাগান্বিত হয়ো না। রসূল (সা.) বললেন, যে আপন ক্রোধ দমন করে আল্লাহ তায়ালা তার দোষ গোপন করেন। তিনি আরো বলেন, যখন তোমাদের কেউ রাগান্বিত হয় সে যেন বসে পড়ে, এতেও যদি রাগ প্রশমিত না হয় তাহলে যেন সে শুয়ে পড়ে। (মেশকাত) অন্য হাদীসে আছে ক্রোধ একটি স্ফুলিঙ্গ, যা অন্তরে প্রজ্বলিত হয়। তোমরা কি দেখ না, ক্রুদ্ধ ব্যক্তির ঘাড়ের শিরাগুলো ফুলে যায়, চক্ষু রক্তবর্ণ হয়ে যায়? তোমাদের কেউ যদি নিজেদের মধ্যে এ অবস্থা দেখে তবে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে।
ক্রোধের বিস্ফোরণই হূদরোগের অন্যতম কারণ-এ সত্যটি আবিষ্কার করেছেন অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইংলাণ্ডের সেন্ট জার্জেস হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার জন হান্টার তার জীবনের বিনিময়ে। চিকিৎসা জগতে জন হান্টার অতি পরিচিত নাম। তার সফল চিকিৎসার সুখ্যাতি বিশ্বময় কিংবদন্তির ন্যায় ছড়িয়ে আছে। বদমেজাজের জন্যও তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তার সাথে রুগিরা একটু এদিক সেদিক ব্যবহার করলেই তিনি রেগে আগুন হয়ে যেতেন। রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়তেন, স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতেন। এ সময় তার বুকে মৃদু যন্ত্রণা হত। এ অপ্রকৃতিস্থ অবস্থা যে দিন বেশী হত সেদিন যন্ত্রণা অসহ্য রকমের হত। ডাক্তার হান্টার তার বন্ধুদের বলতেন, দেখ, যদি আমার আকস্মিক মৃতু্য হয় তাহলে বুঝবে আমার ক্রোধের কারণেই হয়েছে।
একদিন তার চেম্বারে একজন খুঁতখুঁতে মেজাজের রোগী এলেন। সে তার কি রোগ হয়েছে, এ রোগ কেন হয় এরকম বহু প্রশ্ন করে ডাক্তারকে উত্ত্যক্ত করে তুললেন। ডাক্তার তার স্বভাব অনুযায়ী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আর বুক চেপে ধরে রোগিকে বললেন, মাফ করবেন, আমি একটু পাশের রুমে যাচ্ছি। পাশের রুমের মেঝেতে ঢলে পড়লেন। রাগের বিস্ফোরণেই তার মৃতু্য হল। বলা যায় তখন থেকেই মানুষ হূদরোগের তাৎক্ষণিক মৃতু্যর কারণ হিসেবে এই ক্রোধের বিস্ফোরণকেই দায়ী করে আসছে।
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন
রেগে গেলে মানুষ কিভাবে হেরে যার তার একটি চমৎকার আমেরিকান গল্প আছে। এক মার্কিন ধনকুবেরের একমাত্র সুন্দরী কন্যা। কন্যার ছেলে-বন্ধুর কোনো অভাব নেই। অভাব থাকার কথাও নয়, একে তো সুন্দরী তারপর ধনকুবেরের মেয়ে। মেয়ের যখন বিয়ের বয়স হলো বাবা তাকে বললেন, এখন তো তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বলো তোমার কাকে পছন্দ। যাকে পছন্দ তার সাথেই তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করবো। মেয়ে পছন্দ প্রকাশে অপারগতার কথা জানালো। বলল আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ সবাই বলে তারা আমাকে ভালবাসে। আমার জন্যে প্রয়োজনে জান দিয়ে দেবে। বাবা চিন্তায় পড়ে গেলেন। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে বুদ্ধি বেরিয়ে এল। মেয়ের সাথে আলাপ করে বাবা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন- প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতায় যে প্রথম হবে তাকেই মেয়ে বিয়ে করবে। প্রতিযোগিতার দিন দেখা গেল শতাধিক যুবক সুন্দর পোশাকে পরিপাটি অবস্থায় ধনকুবেরের বাড়িতে এসে উপস্থিত। ধনকুবের সবাইকে বাড়ির সুইমিং পুলে নিয়ে গেলেন। সুইমিংপুলের পাশে সবাইকে দাঁড় করিয়ে বললেন, দেখ, প্রতিযোগিতা খুব সহজ। সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে। সাঁতারে যে প্রথম হবে তার সাথেই আমার মেয়ের বিয়ে দেব। তবে সুইমিং পুলে ঝাঁপ দেয়ার আগে ভালো করে খেয়াল করো। পানির নিচে বহু কুমির অপেক্ষা করছে। আর এই কুমিরগুলোকে এক মাস ধরে কোনো খাবার দেয়া হয়নি। ধনকুবেরের কথা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল যে, এক যুবক পানিতে পড়ে চোখ বন্ধ করে দুই হাত পা নাড়ছে। কুমিররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই যুবক ভাগ্যক্রমে কিছুক্ষণের মধ্যেই সুইমিংপুলের ওপারে গিয়ে উটেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবাক। বিস্ময়ের ঘোর কাটতেই ধনকুবেরের মেয়ে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো যুবককে। বিস্ময়াবিষ্ট কষ্ঠে বলল, তোমার মত বীরকেই আমি চাচ্ছিলাম। তুমিই আমার স্বামী হওয়ার একমাত্র উপযুক্ত। এদিকে যুবকের রাগ তখনও থামেনি। উত্তেজনায় হাত-পা কাঁপছে। এক ঝটকায় মেয়েটিকে দূরে ঠেলে দিয়ে যুবক চিৎকার করে উঠল, ‘কোন ... জাদা আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছিল, তাকে আগে দেখে নেই।’সুন্দরী স্ত্রী ও ধনকুবেরের সম্পদ ওই যুবকের হাতের মুঠোর চলে এসেছিল। ধাক্কা যে-ই দিক, সে সুইমিং পুল অতিক্রম করে সবার চোখে বিজয়ী বীর বলে গণ্য হয়েছিল, কিন্তু শুধুমাত্র রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সৌভাগ্য এসেও তা হাতের নাগালের বাইরে চলে গেল। অথচ রাগ দমন করতে পারলে, ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সে অনায়াসে মুচকি হেসে বলতে পারতো, ‘পুরুষ তো আমি একাই, ওরা আবার পুরুষ নাকি!’
নিজের জীবন অনুসন্ধান করলেও আপনি হয়তো দেখতে পাবেন অনেক সুযোগ নষ্টের পিছনে রয়েছে আপনার রাগ, ক্ষোভ ও অভিমান। তাই সবসময় স্মরণ রাখুন ‘রেগে গেলেন, হেরে গেলেন’। রাগের ক্ষতিকর প্রভাবমানসিক
আমরা যখন রেগে যাই তখন পূবাপর চিন্তা না করেই আমরা বলে ফেলি বা করে ফেলি। এর মাশুল গুণতে হয় পরে অনুশোচনা করে বা সুযোগ হাতছাড়া করে। আবার রাগ চেপে রাখাও ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দীর্ঘদিন ধেও ক্ষোভ জমিয়ে রাখছে তাদের বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, বিষণ্নতা হলো চেপে রাখা ক্ষোভ। রাগ বা ক্ষোভ আসলে জীবনের আনন্দকেই কেড়ে নেয়।
শারীরিক
রাগ প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত যাই হোক শরীরের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে দ্বিমত নেই গবেষকদের মধ্যে। রাগের সরাসরি প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে
- পেশীর টেনশন বাড়ার ফলে মাথা, ঘাড় ও পিঠে ব্যথা
- হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট
- পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ বৃদ্ধি এবং বদহজম, অ্যাসিডিটি ও আলসার
- রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং স্ট্রোক, এনিগমা এবং এমনকি হার্ট অ্যাটাকও
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে যদি এই রেসপন্স চলতে থাকে তাহলে অনেক ধরনের ক্রনিক রোগ হতে পারে। যেমন, ইনসমনিয়া, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, আলসার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, মৃগী, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাইগ্রেন, ব্যাকপেইন, ফুসফুসের অসুখ এমনকি ক্যান্সার।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেশি এমন ব্যক্তিরা তাদেও বয়স ৫৫ বছর হওয়ার আগেই অন্যদেও তুলনায় হার্ট অ্যাটাকে বেশি আক্রান্ত হন। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে বয়স্ক পুরুষদেও ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল, অ্যালকোহল, সিগারেট বা অতিরিক্ত ওজনের চেয়েও হৃদরোগের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক পাওয়া গেছে রেগে যাওয়ার প্রবণতার।
এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আয়ুস্কালের ওপরও রাগের প্রভাব আছে। বদরাগী বা রগচটা মানুষ বলে পরিচিতদের মৃত্যুর হার ৫ গুণ বেশি।
পারস্পরিক সম্পর্ক
অন্য যেকোনো আবেগের চেয়ে রাগের ফলে সম্পর্কেও জটিলতাগুলো বেশি হয়। পরিবারের সদস্য, বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশী বা যেকোনো মানুষই একজন রাগীকে এড়িয়ে চলতে চায় এবং পছন্দ করে না।
অন্য যেকোনো আবেগের চেয়ে রাগের ফলে সম্পর্কেও জটিলতাগুলো বেশি হয়। পরিবারের সদস্য, বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশী বা যেকোনো মানুষই একজন রাগীকে এড়িয়ে চলতে চায় এবং পছন্দ করে না।
সাফল্য
সাফল্যের অন্তরায় হিসেবে রাগকে মহামানবরা সবসময়ই শনাক্ত করেছেন। ১৩০০ বছর আগেই ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা) রাগন্বিত অবস্থায় চারটি কাজ থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছেন,
সাফল্যের অন্তরায় হিসেবে রাগকে মহামানবরা সবসময়ই শনাক্ত করেছেন। ১৩০০ বছর আগেই ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা) রাগন্বিত অবস্থায় চারটি কাজ থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছেন,
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ
- শপথ গ্রহণ
- শাস্তি প্রদান
- আদেশ প্রদান
আত্মিক
রাগ দমন করা ছাড়া আত্মিক সাধনার পথে অগ্রসর হওয়াও সম্ভব নয়। রাগের ধ্বংসাত্মক দিক সম্পর্কে সব ধর্মেই সচেতন করা হয়েছে।
• মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, রণক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ। [সহস্সবগ্গো: ১০৩]
• যীশু বলেন, যখন কেউ তোমার সাথে অন্যায় আচরণ করে, তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সদাপ্রভুও তোমাকে ক্ষমা করবেন। [মথি: ৬:১৪]
• বেদে আছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো। [সামবেদ: ৩০৭]
• মহানবী (সা) বলেন, ক্রদ্ধ হয়ো না। যে ব্যক্তি ক্রোধকে সংবরণ করতে পারে সে-ই প্রকৃত বীর। [বোখারী]
রাগ করে কি আসলে কোনো উদ্দেশ্য হাসিল হয়?
অনেকেই মনে করেন কিছু রাগ থাকা ভালো। চলুন দেখা যাক রাগের কিছু সাধারণ কারণ আসলেই তা ঠিক কিনা
- কেউ খারাপ ব্যবহার করলে। রাগ করলে কি পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার চেয়ে আপনি মাথা ঠাণ্ডা রাখলে সম্ভাবনা এই যে অপর পক্ষ ভুল বুঝবে এবং অনুশোচনা করবে।
- ঠকানোর চেষ্টা করলে। রেগে না গিয়ে ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং ভবিষ্যতের জন্যে সাবধান হয়ে যান।
- অন্যায় অবিচার করলে। মনে রাখুন, একা প্রতিবাদ করা অর্থহীন। সবলের অন্যায়ের মুখে দুর্বল এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। অন্যায়ের প্রতিকার করার মতো শক্তি এবং সঙ্ঘবদ্ধতা অর্জন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- স্বীকৃতি না পেলে।স্বীকৃতির…প্রত্যাশা না করে কাজ করে যান। কাজই তার প্রতিদান দেবে।
- বিদ্রুপ করলে। রেগে গিয়ে আপনি কি তার উদ্দেশ্যকেই সার্থক করছেন না? ডনজের নিয়ন্ত্রণ অন্যেও হাতে তুলে দিয়ে কেন হাসির পাত্র হবেন? উল্টো আপনি হাসুন। সে ভড়কে যাবে।
- মানসিক চাপ থাকলে। রেগে গেলে চাপ বাড়বে বৈ কমবে না। তাতে কাজের মান আরো খারাপ হবে। সময় লাগবে বেশি। বরং এই চাপকে দেখুন সুযোগ হিসেবে নিজের দক্ষতাকে আরো বাড়িয়ে নেয়া এবং আরো যোগ্য হবার জন্যে।
- কর্তৃত্ব হারানোর ভয় থাকলে। কর্তৃত্ব ধরে রাখার আসল কৌশল হলো মাথা ঠাণ্ডা রাখা। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারা।
- প্রত্যাখ্যাত হলে। প্রস্তাব দেয়ার অধিকার যেমন আপনার আছে তেমনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের অধিকারও তার আছে এটা আপনাকে স্বীকার করতে হবে।
- যুক্তিসংগত কথা বুঝতে না চাইলে। উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। যে ভাষায় বললে অপরপক্ষ বুঝবে তাকে সে ভাষায়ই বোঝান। প্রয়োজনে সময় নিন।
রাগ না করে কি থাকা যায়?
আপনি হয়তো বলতে পারেন রাগ না করে কি থাকা যায়? একজন অহেতুক গালিগালাজ করল, মা-বাবা তুলে গালি দিল, তখনও কি প্রো-অ্যাকটিভ থাকা যায়? অনায়াসে থাকা যায়।
মহামতি বুদ্ধের জীবনের একটি ঘটনা এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্যে এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। মহামতি বুদ্ধ তখন বৃদ্ধ। এক চালবাজ লোক জুটে গেল। সে ভাবলো বুদ্ধ আর বেশি দিন বাঁচবেন না। এখন তাঁর সাথে কিছুদিন থেকে যদি কিছু কায়দা-কানুন টেকনিক শিখে নেয়া যায় তাহলে বুদ্ধ মারা যাওয়ার সাথে সাথে নিজেকে বুদ্ধের অবতার ঘোষণা করে দেব। তখন আর পরিশ্রম করতে হবে না। বসে বসে দান-দক্ষিণা গ্রহণ করেই জীবনটা সুখে কাটিয়ে দেয়া যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। ভণ্ড একেবারে নিবেদিতপ্রাণ শিষ্যের মতো ভান করে বুদ্ধের সেবা যত্ন করতে লাগল। মহামতি বুদ্ধ তার মতলব বুঝলেও কিছুই বললেন না। বছর দুই পার হওয়ার পর ভণ্ড শিষ্য বুঝতে পারল যে, সে ধ্যানের ক্ষমতা বা আধ্যাত্মিক শক্তি কিছুই লাভ করেনি। কারণ নিয়ত পরিষ্কার না থাকলে ধ্যানের ক্ষমতা বা আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করা যায় না। ভণ্ড শিষ্য এর ফলে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। মনে মনে ঠিক করল এর উপযুক্ত প্রতিশোধ সে নেবে। একদিন ভোরবেলা মহামতি বুদ্ধ একা বসে আছেন। ভণ্ড ভাবল এই সুযোগ। সে কাছে গিয়ে বুদ্ধকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে লাগল। বুদ্ধ চুপচাপ শুনছেন। কিছুই বলছেন না। অনেকক্ষণ গালিগালাজ করার পর ভণ্ড শিষ্য যখন একটু থামল বুদ্ধ তখন মুখ খুললেন। শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলেন আমি কি তোমাকে কোনো প্রশ্ন করতে পারি? ভণ্ড শিষ্যের মেজাজ তখনও ঠাণ্ডা হয়নি। সে ঝাঁঝাল স্বরে বলল, জিজ্ঞেস করেন, কি জিজ্ঞেস করবেন? বুদ্ধ বললেন, ধরো তোমার কিছু জিনিস তুমি কাউকে দিতে চাচ্ছ। কিন্তু সে যদি তা না নেয়, তাহলে জিনিসগুলো কার কাছে থাকবে? উত্তেজিত শিষ্য জবাব দিল, ‘এ তো সহজ বিষয়। এটাও আপনি বোঝেন না? আমার জিনিস আমি যাকে দিতে চাচ্ছি সে যদি না নেয় তাহলে আমারই থাকবে। বুদ্ধ আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার জিনিস তুমি তাকে দিতে চাচ্ছ সে যদি না নিলে তোমার থাকবে?’ ভণ্ড শিষ্যের উত্তর, ‘হ্যাঁ আমার থাকবে।’ এবার মহামতি বুদ্ধ বললেন, তাহলে এতক্ষণ তুমি আমাকে যা (গালিগালাজ) উপহার দিলে, আমি তার কিছুই নিলাম না।’
আপনিও আপনার জীবনে ব্যক্তিগত গালিগালাজ ও অপমানসূচক কথাবার্তার জবাবে মহামতি বুদ্ধের এই কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। আসলে একজন মানুষ যখন অযৌক্তিক আচরণ করে, গালিগালাজ করে, মা বাবা তুলে গাল দেয় তখন এর জবাবে আপনি তার মা-বাবা তুলে গাল দিতে পারেন, কিন্তু তার মা-বাবাকে গালি দিয়ে আপনি নিজেকেই অপমানিত করলেন। সে গালিগালাজ করে আপনার শান্তি নষ্ট করতে এসেছিল, আপনি গালির জবাব দেয়ার অর্থই হচ্ছে তার উদ্দেশ্যকে সফল করা। তারচেয়ে কিছুক্ষণ তার গালিগালাজ শোনার পরে আপনি যদি বিনয়ের সাথে বলেন, ‘ভাই/আপা আপনি অনেক মেহেরবান। অনেক কিছু আমাকে দিলেন। কিন্তু এগুলো রাখার কোনো জায়গা আমার কাছে নেই। আমি কিছুই নিলাম না। এগুলো আপনারই থাক।; এ কথা বলার পর দেখবেন, অপরপক্ষ দাঁত কামড়ে চলে যাচ্ছে। তার গালিগালাজ যে আপনার উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারলো না, এটাই তার পরাজয়। আর এ পরাজয়ের যন্ত্রণা হয়তো অনেক দিন সে বয়ে বেড়াবে। সে এসেছিল আপনার শান্তি নষ্ট করতে, কিন্তু শান্ত থেকে আপনি তাকে পরাভূত করলেন। রাগের প্রতিকার
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান
আপনি যদি সত্যিই মনে করেন যে রেগে গেলেন তো হেরেও গেলেন, তাহলে সত্যিই আপনি এ সমস্যা থেকে মু্ক্তি পাবেন।
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন স্টিকার লাগান।
আপনার রাগের মুহূর্তগুলোকে ভিডিও করে রাখুন। পেও দেখুন রেগে গেলে আপনি কীরকম দানবীয় আচরণ করেছেন?
অটোসাজেশন দিন। রেগে গেলাম তো হেরে গেলাম।
কারণ খুঁজে বের করুন অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাগের আসল কারণ অর্ন্তগত হীনম্মন্যতা। নিজের দুর্বলতাকেই মানুষ ঢাকার চেষ্টা করে দুর্ব্যবহার বা রাগারাগির মধ্য দিয়ে। তাই খুঁজে দেখুন আপনার মধ্যে কোনো হীনম্মন্যতা আছে কি না। হও উন্নত শির বা নেতিচিন্তার মেডিটেশন করুন। আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচকতা বাড়াতে অটোসাজেশন দিন।
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
কোনো মানসিক সমস্যার কারণে এই রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে মানসিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.